একজন হার-না-মানা ‘ফ্রিল্যান্সার’মো: তারিকুল ইসলামের সফলতার গল্প

সবুরে মেওয়া ফলে’- প্রবাদটি অন্য কারো কাছে সত্য হোক বা না হোক কিন্তু তা ফ্রিল্যান্সার তারিকুল ইসলামের ক্ষেত্রে সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। কেননা বারবার ধাক্কা খেয়ে পুনরায় লেগে থাকা, পরিবারের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, কাজের চাপে কাঙ্ক্ষিত পড়াশোনা করতে না পেরে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং-কে পেশা এবং নেশা হিসেবে গ্রহণ করে সফল হওয়া এক স্বপ্নবাজ আবু সাঈদ বিন শোভন। আজ দেশে যিনি একজন পেশাদার ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পরিচিতি। তবে এই সফলতার সহজ ছিল না। বরং ছিল বাধা ও চ্যালেঞ্জে ভরপুর।

দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় শিক্ষকের কাছ থেকে প্রথম ফ্রিল্যান্সিং শব্দটির সাথে পরিচিত হোন কুমিল্লার ছেলে শোভন। জানতে পারেন, ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে বিদেশি মার্কিন ডলার আয় করা যায়। সেই থেকে শুরু। দিনরাত ডলার আয়ের স্বপ্ন মাথায় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার নেশায় এদিক-সেদিক ছুটোছুটি। যেভাবেই হোক তাকে ডলার আয় করতেই হবে। যথারীতি বাড়িতে জানালেন তার একটি কম্পিউটার দরকার। কারণ তিনি ঘরে বসে কাজ করে ডলার আয় করবেন। কিন্তু তার এই আবদার পূরণ করাতো পরিবারের কাছে অমাবস্যার চাঁদের মতো। কেননা যেখানে দুবেলা খাবার জোগাড় করতে পরিবারকে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে সেখানে ৩০-৪০ হাজার টাকা দিয়ে তাকে কম্পিউটার কিনে দেয় এমন সাধ্য কি পরিবারের আছে!

তবুও হাল ছাড়েননি তখনকার স্বপ্নবাজ কিশোর শোভন। ছোট থেকেই জেদি শোভনের বহু আবদারের পর এক সময় ঘরে আসে সেই বহু কাঙ্খিত কম্পিউটার।

Facebook
Twitter
LinkedIn

আরও পড়ুন