এ মুহূর্তে ব্রাজিল দলের সবচেয়ে আলোচিত ফুটবলারের নাম এনদ্রিক। ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলের হয়ে জয়সূচক গোল করে আলোচনায় আসেন ১৭ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। তবে সেটুকুতেই থামেননি তিনি, মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্পেনের বিপক্ষেও করেন দারুণ এক গোল।
এনদ্রিকের গোলের পর রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটি ব্রাজিল ড্র করে ৩–৩ গোলে। শুধু ম্যাচে নয়, ম্যাচের পরও আলোচনার কেন্দ্রে এনদ্রিক। এদিন ম্যাচ শেষে এনদ্রিককে দেখা যায় স্ট্যান্ডে গিয়ে এক তরুণীকে চুমু খেতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চুমুর ছবি ভাইরাল হওয়ার পর জানা যায়, এনদ্রিক যাঁকে চুমু খেয়েছেন, তাঁর নাম গাবরিয়েলি মিরান্দা। সম্পর্কে এনদ্রিকের প্রেমিকা।
মিরান্দা নিজেও চুমু খাওয়ার ছবি এনদ্রিককে ট্যাগ করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন, যার ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আশা করি, তুমি আমার চোখে তাকিয়ে বুঝতে পারো তোমাকে কত ভালোবাসি। প্রতিটি শব্দ, অবিভ্যক্তি, দৃষ্টি, আলিঙ্গন, চুমু, প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ। এর সবকিছু প্রতিবারই যেন প্রথমবার। আমি তোমার সঙ্গে আছি। তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’
মিরান্দা বয়সে এনদ্রিকের চেয়ে চার বছরের বড়। এনদ্রিকের বয়স ১৭, মিরান্দার ২১। এ জুটি প্রেম করছেন গত বছরের অক্টোবর থেকে। ইনস্টাগ্রামে দুজনই একে অপরের সঙ্গে একাধিক অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করেছেন। মডেল হিসেবে কাজ করা মিরান্দা অবশ্য আগে থেকেই ইনস্টাগ্রামে পরিচিত মুখ ছিলেন।
গত বছরের শেষ দিকে ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫০ হাজারের মতো। কিন্তু এনদ্রিকের সঙ্গে সম্পর্কের খবর সামনে আসার পর সে সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে এই তরুণীর অনুসারীর সংখ্যা ৫ লাখ ৫০ হাজারের বেশি।
এনদ্রিক–মিরান্দার প্রেমের সম্পর্কে অবশ্য পালমেইরাসেরও সম্পৃক্ততা আছে। পারিবারিক প্রভাবে ব্রাজিলিয়ান এই মডেলের পছন্দের ক্লাব পালমেইরাস, যেখানে ২০২২ সাল থেকে খেলছেন এনদ্রিক। তবে এই ফুটবলারের সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর আগে থেকেই পালমেরাইসের ম্যাচ দেখতে যেতেন মিরান্দা। সম্প্রতি দুজনকে সাও পাওলোর এক রেস্তোরাঁয়ও একসঙ্গে দেখা গেছে। দুজন বর্তমানে একসঙ্গে ব্রাজিলের এ শহরেই থাকেন।
